বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার ঘটনা

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার ঘটনা নিয়ে কোনো রাজনীতি দেখতে চান না তার স্বজনরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। বুয়েট থেকে দোষীদের সাময়িক না, স্থায়ী বহিষ্কার চান আবরার ফাহাদের পরিবার।
নিহত আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, সারা জীবনের জন্য আমার ছেলের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার ছেলের পা যেহেতু আর কোনো দিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না, তাই আমার দাবি যাদের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তাদেরও পাও যাতে আর কোনো দিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে।
এখনো থামছে না আবরারের মায়ের কান্না। সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে প্রতিনিয়তই আকুতি তার। আবরারের মৃত্যুতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে এখনো শোকের ছায়া। সন্তানকে হারিয়ে শোকে হতবিহবল বাবা বরকত উল্লাহও। আবরারের হত্যাকারীদের সাময়িক নয়, স্থায়ী বহিষ্কার চান তারা।
আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকতুল্লাহ বলেন, ১৯ জনকে অস্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদের শনাক্ত করা গেছে তাদের তো স্থায়ী বহিষ্কার করা যেত।
এদিকে, সন্তান হত্যা নিয়ে কেউ যেন অপপ্রচার না চালায় সেদিকে নজর দেয়ার কথা জানান আবরারের বাবা। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।
বরকতুল্লাহ বলেন, আমার ছেলের লাশ নিয়ে কেউ যেন রাজনৈতিক আন্দোলন না ঘটায়।
গত ৭ অক্টোবর গভীর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনে মৃত্যু হয় আবরার ফাহাদ।

Comments