'বাংলাদেশে আমার অনেকবারই আসা হয়েছে। এই দেশটাকে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এই দেশে অসাধারণ বেশকিছু জায়গা আছে যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই। আর একটা কথা না বললেই নয় যে, এখানকার খাবারের প্রতি আমার লোভটা অনেক বেশি। খুবই ভালোবাসি এখানকার খাবার। বিশেষ করে এই দেশের শুঁটকি ও ইলিশ মাছ আমার ভীষণ পছন্দের।’- প্রথমবারের মতো ঢাকায় আয়োজিত ‘ভারত বাংলাদেশ ফিল্মস অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী পাওলি দাম।
তিনি বলেন, আমি এর আগে এই দেশে অনেকবার এসেছি। এদেশের ছবিতেও কাজ করেছি। কিন্তু এবার আমরা সবাই এসেছি দুই বাংলা এক হয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আর কিন্তু যৌথ প্রযোজনায় এটা প্রথম কোনো অ্যাওয়ার্ড। এটাকে আমি বলব সাহসী একটা পদক্ষেপ। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সবাই এক হয়ে কাজ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
২০১৮ সালের জুন থেকে চলতি বছরের (২০১৯) জুন পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর জন্য পুরস্কার আয়োজন করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের বাছাই করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আলমগীর, কবরী, ইমদাদুল হক মিলন, খোরশেদ আলম খসরু ও হাসিবুর রেজা কল্লোল। অন্যদিকে, ভারত থেকে ছিলেন গৌতম ঘোষ, ব্রাত্য বসু, গৌতম ভট্টাচার্য, অঞ্জন বোস ও তনুশ্রী চক্রবর্তী।
জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে গতকাল (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস (বিবিএফএ)’। সন্ধ্যা হতেই বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে একে একে হাজির হতে থাকেন সব জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। অনুষ্ঠানে আসেন পশ্চিমবঙ্গের তারকা প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, জিৎ, আবির চ্যাটার্জি, তনুশ্রী দত্ত, পরমব্রত, পাওলি দাম, বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী, ওমর সানী, জয়া আহসান, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া, পরীমনি, ইমন, তাসকিন রহমান, সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরীসহ অনেকে।
আয়োজনে আজীবন সম্মাননায় সম্মানিত করা হয়েছে গুণী অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমকে। পাশাপাশি একই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক।
এছাড়াও জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার দেয়া করা হয়। টিএম ফিল্মস নিবেদিত এ পুরস্কার উৎসবের উদ্যোক্তা ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ও বসুন্ধরা গ্রুপ।
Comments
Post a Comment